Comfort zone কি?

একটা ছোট্ট গল্পের সাহায্যে দেখে নেওয়া যাক।
একবার একটা কুকুর ছিল সে সবসময় একটা জায়গায় বসে কাদতো। এবং ওর পাশে একটা ভিখারি বসেছিল। তো একটা মানুষ একবার লক্ষ্য করে বিষয়টা এবং ওই ভিখারি কে জিজ্ঞাসা করে যে কুকুরটা সব সময় কাদতে থাকে কেন? তো ওই ভিখারিরা ওই মানুষটার প্রশ্নের উত্তর দেয়, যেখানে কুকুরটা বসে আছে তার নিচে একটা পেরেক পড়ে আছে। তো মানুষটা বলে এতটা কষ্ট হচ্ছে তাহলে ও উঠে যায় না কেন! ভিখারি বলে এখনো এতটা কষ্ট হচ্ছে না যে উঠে যাবে।
তোমার অনেক প্রবলেম আছে, তুমি সেখানে থেকে বেরিয়ে আসতে পারো কিন্তু চেষ্টা করছ না সেখানেই সন্তুষ্ট থাকতে চাইছ। এটাই comfort zone।
তুমি যে কাজটা করছো যে মানুষটার সঙ্গে থাকছ সেই সব কিছুতে তুমি যদি satisfied’ থাকো তাহলে সেটা comfort zone এর মধ্যে পড়ে না।
কিন্তু এমন হয় যে ধরনের কাজই হোক একটা সময়ের পরে সেটা boring হয়ে যায়। সেই সময় কি করতে হবে হয় কাজ করার পদ্ধতিটাকে বদলাতে হবে না হয় কাজটাকেই বদলাতে হবে।
যেমন ধরুন লকডাউন এর পরে স্কুলগুলোতে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। যদি শিক্ষকরা comfort zone এ থাকতো তাহলে বলতো “কি হবে অনলাইনে ক্লাস করে অথবা অনলাইনে আগে কোনদিন ক্লাস করায়নি” তাহলে সবাই অপেক্ষা করতেন কবে লকডাউন শেষ হবে, কবে স্কুল খুলবে।
সময়ের সাথে বদলাতে শিখতে হবে, না হলে সময় আপনাকে বদলে দেবে।